ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের, আরো ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপের হুমকি উ. কোরিয়ার
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট
-
আপডেট টাইম:
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
ওয়াশিংটন এবং সিউল পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সমালোচনা করার পর, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শনিবার আআক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার সতর্ক করেছেন। গতকাল শুক্রবার উত্তর কোরিয়া একটি অজ্ঞাত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অঞ্চল সফরের সময়ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে উত্তর কোরিয়া আবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো।দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে পিয়ংইয়ং এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নো কওয়াং চল বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন উত্তরের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে সামরিক পদক্ষেপে নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে এবং অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়াচ্ছে।’পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ‘নো কওয়াং চল, শত্রুদের হুমকির বিরুদ্ধে আমরা আরো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ দেখাব।মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে পৃথককারী সীমান্ত পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় যৌথ প্রতিরক্ষা অবস্থান ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা পুনরায় নিশ্চিত করেন। উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নো কওয়াং বলেন, হেগসেথের সফরের উদ্দেশ্য ছিল ‘যুদ্ধ উন্মাদনা উসকে দেওয়া।’বুধবার মার্কিন পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরনগরে লজিস্টিক সহায়তা ও নৌসদস্যদের বিশ্রামের উদ্দেশ্যে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে সিউলের নৌবাহিনী।এরপর উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রী নো কওয়াং বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলছে।’উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, এ বিষয়ে তারা মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা করছে।যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই ঘটনার ফলে মার্কিন জনবল, ভূখণ্ড কিংবা আমাদের মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি তৈরি হয়নি বলে আমরা মনে করি। তবে এ উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডের অস্থিতিশীল প্রভাবকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।’ এদিকে জাপান জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে গিয়ে পড়েছে।।সিউলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়াকে অবিলম্বে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সাবমেরিন তৈরি দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ ও প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে, যা এই ধরনের জাহাজধারী নির্বাচিত কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগ দেবে। তারা বলেছে, সিউলের পারমাণবিক-চালিত জাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে।
নিউজটি শেয়ার করুন..
-
-
-
- Print
- উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..