সুদানের সেনাবাহিনী-সমর্থিত কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠকে বসবে, যা তারা প্যারামিলিটারির (আরএসএফ) সঙ্গে চলমান যুদ্ধে কার্যকর করার চেষ্টা করছে।গত দুই বছরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ও লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতির কারণ হওয়া এই যুদ্ধ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সুদানের নতুন নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আরো ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য সংঘাতের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করার পর, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন প্রশাসন সুদানে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দিচ্ছে।সেনাবাহিনী-সমর্থিত কর্তৃপক্ষ এর আগে একটি শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল, যার অধীনে সেনাবাহিনী এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত প্যারামিলিটারি উভয়কেই একটি অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখার কথা ছিল।যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর সর্বশেষ আলোচনাগুলো চলছে। প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দারফুর অঞ্চলের শেষ সামরিক ঘাঁটি আল-ফাশের দখলের পর এখন কেন্দ্রীয় কর্ডোফান অঞ্চলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকারি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদ আজ মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক করবে।’ আল-ফাশের থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া লোকজন এএফপিকে ভয় ও সহিংসতার দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন।৫৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এএফপিকে জানান, আল-ফাশের পতনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শনিবার পালিয়ে যাওয়ার সময় আরএসএফ যোদ্ধারা তাকে থামিয়েছিল।তিনি আরএসএফ সম্পর্কে বলেন, ‘তারা আমাদের ফোন, টাকা, সবকিছু দাবি করেছে। তারা আমাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করেছে।’পশ্চিম দিকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে তাউইলার দিকে যাওয়ার পথে তিনি ‘রাস্তায় পড়ে থাকা একটি মৃতদেহ দেখেছিলেন, যা দেখে মনে হচ্ছিল একটি কুকুর খেয়ে ফেলেছে।