জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনকে “অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে গণভোট আয়োজন সময়সাপেক্ষ, ব্যয়সাধ্য এবং প্রশাসনিকভাবে অবাস্তব।”
তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশসমূহ একপেশে ও জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। “ভিন্নমত ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর উল্লেখ বাদ দিয়ে কিংবা আলোচনায় না আসা বিষয় সংযোজনের মাধ্যমে কমিশনের সুপারিশ জাতিকে বিভক্ত করবে,” বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, প্রণীত “জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫”-এর চূড়ান্ত সংস্করণে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত কয়েকটি দফা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরকারি-বেসরকারি অফিসে টানানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব এবং সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল বাতিলের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাগুলো ছিল অর্থহীন ও প্রহসনমূলক। প্রিন্টেড কপিতে আমাদের অগোচরে সংশোধন এনে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।