ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার কিছু মিত্র দেশ জাতিসংঘ সনদের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী।
আজ সোমবার জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেন, “জাতিসংঘ কেবল বিশ্বশান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ বৃদ্ধির সংগঠন নয়; এটি মানবজাতির দুঃখ-কষ্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণের প্রতীকও বটে।”
পার্সটুডের প্রতিবেদনে এই তথ্য এসেছে। বাকায়ি আরও বলেছেন, জাতিসংঘ সনদের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বের জাতিগুলোর অধিকারকে সম্মান করা, যা নিশ্চিত করতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধ জরুরি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু দেশ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের হতে না পেরে এই সনদের লক্ষ্য ও আদর্শকে বারবার লঙ্ঘন ও অপব্যবহার করেছে। আজকের বিশ্ব অবিরাম যুদ্ধের দুঃস্বপ্নে জর্জরিত, আর মানব মর্যাদা রাজনৈতিক স্বার্থের বলি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “আইন ভঙ্গ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সবসময় শক্তিশালী দেশগুলোই করেছে। তারা আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও আইনকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের স্বার্থে ভুয়া নিয়ম-কানুন তৈরি করেছে। একতরফা নীতি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, “জাতিসংঘ সনদের মৌলিক নীতি ও লক্ষ্য বিশেষ করে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ করার বিধান এর আগে কখনোই এত বেশি লঙ্ঘন করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও তার কিছু মিত্রই জাতিসংঘ সনদের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী।”
তিনি বলেন, “গত দুই বছরে ফিলিস্তিনে নৃশংস গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি দখলদার ইসরায়েল পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপরও হামলা চালিয়েছে। দুঃখজনকভাবে কিছু দেশ ও বড় শক্তি এতে সহায়তা করেছে এবং এখন এসব অপরাধের কোনো বিচার করা হয় না, শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় না।”
বাকায়ি বলেন, “ইরান শান্তি ও ন্যায়ের সমর্থক। আমরা ন্যায়ের প্রতি বিশ্বাসী। আসুন কেবল মুখের কথায় সীমাবদ্ধ না থেকে তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।”