ঘটনার দিন দুপুরে মর্জিনা বেগম বসতঘরের দরজা বন্ধ করে দড়ি দিয়ে প্রথমে কন্যাশিশু ময়নাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে একই দড়িতে নিজেও আত্মহত্যা করেন। শাহীন বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেও সাড়া পায় না। পরে পাশের কক্ষের সিলিংয়ে উঠে ঘটনা দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শাহীন ও মর্জিনার মধ্যে কখনো ঝগড়া হতে দেখিনি। পারিবারিক কোনো সমস্যাও ছিল না। তবে মর্জিনা কয়েক মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মাঝে মধ্যে নিজের মাথার চুল টানাটানি করতেন।চিকিৎসাও চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে কী হলো তা আল্লাহ জানেন।’পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’