আগামী ১২ অক্টোবর (রবিবার) থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) আওতায় সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন-২০২৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের এই টিকা প্রদান করা হবে। সারাদেশের পাশাপাশি ঢাকায় প্রায় ১০ লাখ ৩৪ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়ে আগামী চার সপ্তাহব্যাপী (১৮ কর্ম দিবস) প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা সারাদেশে শিশুদের টিকা প্রদান করবেন। ক্যাম্পেইনের আওতায় অনলাইনে জন্মসনদ নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নির্ধারিত বয়সের শিশুরা বিনামূল্যে টিকা গ্রহণ করবে পারবেন।
বক্তব্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টাইফয়েড কনজ্যুগেট ভ্যাকসিন (মনোভেলেন্ট) টিভিসি এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ, সংংক্রমণ হ্রাস, জ্বরের কারণে সৃষ্ট জটিলতা ও মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করাই এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ, কার্যকর ও হালাল। যা ইসলামিক ফাউন্ডেশন দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে টিকা গ্রহণের পূর্বে শিশুদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন জানান, টিকা গ্রহণের দিন শিশু অসুস্থ (জ্বর, এলার্জি, বমি) থাকলে টিকা দেওয়া যাবে না। টিকা নেয়ার পূর্বে শিশুর পেট ভরা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া অসুস্থ বা বাদ পরা শিশুরা পরবর্তী সময়ে টিকাদান কেন্দ্র থেকে ক্যাম্পেইন চলাকালীন টিকা নিতে পারবে।
সম্মেলনে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আরো জানান, ঢাকায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৭ জন টাইফয়েড টিকার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনটিতে এ সময় ঢাকা জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সরকার ফারহানা কবীর, মেডিকেল অফিসার কো-অর্ডিনেটর ডা. নূরেন মুবাশিশিরা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরদারি ও টিকাদান কর্মকর্তা ডা. মাকসুদুল আমিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।