প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় জিম্মিদের মুক্তির জন্য চুক্তির অংশ হিসেবে সিনিয়র ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারগুতি, ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা আহমেদ সাদাত, সিনিয়র হামাস সেতা ইব্রাহিম হামেদ ও হাসান সালামেহকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে ইসরাইল।
টাইমস অব ইসরাইল বলছে, এই চারজনই একাধিক অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলে বন্দি অন্তত ২৫০ জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি নেতাকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। তবে এই তালিকায় কারা রয়েছেন বা হামাস কাদের মুক্তি চেয়েছে কিংবা ইসরাইল কাদের ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার আওতায় ইসরাইলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হতে পারে।
তাদের মধ্যে ইসরাইলি কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত প্রায় ২৫০ ও যুদ্ধ শুরুর পর গাজা থেকে আটক ১ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছেন।
বারগুতিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বারগুতি এবং হামেদকে মুক্তি দেয়া হবে না।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ১৯৫৯ সালে মারওয়ান বারগুতির জন্ম। পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন যখন শুরু হয়, তখন তার বয়স ৮। ১৫ বছর বয়সে তিনি ফাতাহ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ওই বছরই সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ততার অভিযোগে ইসরিইলিরা তাকে গ্রেফতার করে।
১৯৭৮ সালে ১৮ বছর বয়সে ইসরাইলি কারাগারে তাকে অকথ্য নির্যাতন ও জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল। কারাব্যবস্থা সম্পর্কে বারগুতি পরে বলেছিলেন, ইসরাইল একটা বেআইনি ব্যবস্থা জারি করে যথেচ্ছাচার করছে। ২০১৭ সালে কারাগারে তিনি অনশন আন্দোলন শুরু করেন, ওই সময়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক নিবন্ধে তিনি তার জেলজীবনের অভিজ্ঞতার কথা লেখেন।