বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

এলোপাথারি ৫০ রাউন্ড গুলি ছুড়লেন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি, আহত ১৬

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ব্যস্ত সড়কে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১৬ জনকে আহত করার ঘটনায় এক ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে সোমবার পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিডনির ইনার ওয়েস্ট এলাকায় ঐ ব্যক্তি এলোপাথারিভাবে পথচারী, যানবাহন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি।পুলিশ আরো জানায়, বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং অভিযান চালিয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপরতলায় প্রবেশ করে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে।সেখান থেকে একটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।সড়কের বিপরীতে অফিসে কাজ করছিলেন জো আজার। তিনি সিডনি মর্নিং হেরাল্ড সংবাদপত্রে জানান, প্রথমে তিনি আতশবাজি বা জানালায় পাথর ছোড়ার শব্দ ভেবেছিলেন। পরে দেখেন, একটি গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেছে এবং বাসস্টপের কাঁচ ভেঙে গেছে।তিনি বলেন, ‘হঠাৎ মনে হলো, আসলেই এমন কিছু ঘটছে। মুহূর্তেই সবকিছু আতঙ্কে ভরে গেল। এতো দ্রুত ঘটছিল যে বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে।’প্রথমে পুলিশ ধারণা করেছিল, প্রায় একশ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।তবে সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের অ্যাক্টিং সুপারিনটেনডেন্ট স্টিফেন প্যারি সংখ্যা সংশোধন করে জানান, প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে এবং মোট আহতের সংখ্যা ১৬। অভিযুক্ত বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে চোখের আশপাশে সামান্য আঘাতের কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তি নিজেই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি আহতরা অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই গাড়ির কাঁচ ভাঙার কারণে সামান্য আঘাত পান।নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ কমিশনার ম্যাল ল্যানিয়ন ঘটনাটিকে গুরুতর ও ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করে জানান, বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য এখনো অজানা হলেও এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ বা গ্যাং কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এক প্রত্যক্ষদর্শী ট্যাডগ অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (এবিসি) জানান, তিনি রাগবি ম্যাচ দেখছিলেন, তখনই গুলির শব্দ শোনেন। তিনি বলেন, ‘একটার পর একটা জোরে শব্দ হচ্ছিল। বিস্ফোরণ, ধোঁয়া, আতশবাজির মতো দৃশ্য। সবকিছু যেন সিনেমার মতো লাগছিল।’অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের গণগুলির ঘটনা বিরল। ১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ার পোর্ট আর্থারে এক বন্দুকধারীর হাতে ৩৫ জন নিহতের পর থেকেই দেশটিতে স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়। সম্প্রতি ২০২২ সালে কুইন্সল্যান্ডের উইয়ামবিলা এলাকায় গুলিতে দুই পুলিশসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। চলতি বছরের আগস্টে অভিযুক্ত বন্দুকধারী ডেজি ফ্রিম্যান দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর পালিয়ে যান এবং এখনো পলাতক রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102