আমেরিকায় বসবাসরত জনপ্রিয় প্রবাসী সংগীতশিল্পী রোকসানা মির্জা ও তার স্বামী রিয়েলটর আজাদ ভয়াবহ আর্থিক ও সামাজিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, আসেফ বারী টুটুল প্রতারণার মাধ্যমে তাদের সাড়ে ৬ লাখ ডলার আটকে রেখেছেন। এ ঘটনায় দম্পতি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন এবং চরম হতাশা থেকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।
গত শনিবার নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোকসানা ও আজাদ বলেন, টুটুলের সাথে কাজ করতে গিয়ে তারা নিঃশেষ হয়েছেন। রোকসানা জানান, “আমার গয়না বিক্রি করে বাড়ির কাজের খরচ জুগিয়েছি। আজ আমাদের সংসারই ভাঙনের মুখে।” আজাদ আরও আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “অর্থকষ্টে কখনও কখনও মনে হয় ১৪ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ি। এ জীবন আর বহন করতে পারছি না।”
আজাদের অভিযোগ, ২০২১ সালে ব্রংকস ও ব্রুকলিনে টুটুলের মালিকানাধীন ভবনের নির্মাণকাজ করেন তিনি। কিন্তু চার বছর পার হলেও পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। বারবার আশ্বাস, এমনকি হজ থেকে ফেরার পর অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও টুটুল শেষ পর্যন্ত দেননি। বরং ২০২৩ সালে সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান, যা ব্যবসা ও সুনামের ওপর আরও আঘাত হানে।
অর্থ ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন আজাদ, তবে মামলা পরিচালনার খরচ বহন করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, “আমাকে পথে বসিয়েছে টুটুল। আমার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে, বাড়ি হারিয়েছি। আমার স্ত্রীর জমানো অর্থও শেষ। আমরা সম্পূর্ণ নিঃস্ব।”
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে আজাদ আরও বলেন, “আমার একটাই দাবি— টুটুল যেন আমার সাড়ে ৬ লাখ ডলার ফেরত দেন। যতদিন না পাবো, আমি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে মাইক হাতে নিয়ে চিৎকার করে আমার পাওনা চাইবো।”
এই ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে টুটুলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দম্পতির দাবি— দ্রুত অর্থ ফেরত না পেলে তাদের জীবন একেবারে অচল হয়ে পড়বে।