১. আল্লাহ সহিংসতা অপছন্দ করেন : আল্লাহ সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কাজ পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়; আল্লাহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্তদের ভালোবাসেন না।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৬৪)
২. সহিংস
ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত :
যারা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে দেশ ও জাতির ক্ষতি করতে চায় শেষ পর্যন্ত তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।’(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৭)৩. সহিংসতা মুনাফিকদের কাজ : কোরআনে সহিংসতাকে মুনাফিক বা কপট লোকদের কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি কোরো না, তারা বলে আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান! তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী।কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১১-১২)
৫. সহিংসরা কল্যাণকামী নয় : যারা সমাজে সহিংসতা সৃষ্টি করে তারা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকামী নয়। কেননা কল্যাণকামিতা ও সহিংসতা কখনো এক হতে পারে না।ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ জানেন কে কল্যাণকামী এবং কে অনিষ্টকারী।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২২০)
সহিংসতা রোধে ইসলাম রাষ্ট্রকে আইন প্রয়োগের অধিকার দিলেও তা প্রয়োগে সংযত ও সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যেন তারা নিজেরাই সহিংস হয়ে না ওঠে এবং প্রতিপক্ষকে দমন করতে অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার না করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তবে (কি) ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ২২)
সহিংসতা রোধে করণীয়
সাধারণ নাগরিকরা সহিংসতা রোধে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারে। তা হলো :
১. সচেতনতা তৈরি : সহিংসতা রোধে সাধারণ মানুষ নিজে সচেতন থাকবে এবং অন্যকেও সাবধান করবে, নতুবা সমাজের বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের পূর্ব যুগে আমি যাদের রক্ষা করেছিলাম তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন ছাড়া সজ্জন ছিল না, যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাতে নিষেধ করত।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৬)
২. সহিংসতা রোধে সহযোগিতা করা :
সমাজ ও রাষ্ট্রে সহিংসতা রোধে কল্যাণকামীরা পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। কেননা আল্লাহ কল্যাণের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সৎকাজ ও আল্লাহভীতিতে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমা লঙ্ঘনে পরস্পরকে সাহায্য করবে না।’(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ২)
৩. আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া :
মুমিন সর্বোপরি দেশ ও জাতির শান্তি, কল্যাণ ও স্থিতি কামনা করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৩০)আল্লাহ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সব ধরনের সহিংসতা ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা করুন। আমিন।