১. সাধারণ অধিকার
সালাম প্রচার করা ও উত্তর দেওয়া। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮৬)
অসুস্থকে দেখতে যাওয়া। (তিরমিজি, হাদিস : ১০১৭)
জানাজায় অংশ নেওয়া। (তিরমিজি, হাদিস : ১০১৭)
দাওয়াত গ্রহণ করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৬০)
অঙ্গীকার পূর্ণ করা। (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৪)
হাঁচি দিলে উত্তর দেওয়া। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫২১)
মজলুমকে সাহায্য করা। (বুখারি,
হাদিস : ৫১৭৫)
বিপদগ্রস্তকে সহায়তা করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২৫)
অন্যের দোষত্রুটি অনুসন্ধান না করা।
(সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)
ঋণে জর্জরিতের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৮০)
কারো প্রতি জুলুম বা অবজ্ঞা না করা। (তিরমিজি, হাদিস : ৩০৮৭)
ইত্যাদি।
২. বিশেষ অধিকার
ব্যক্তিগত কারণে তিন দিনের বেশি সম্পর্কচ্ছেদ না করা। (বুখারি, হাদিস : ৬০৭৩)
যেকোনো অবস্থায় অন্যকে সাহায্য করা।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২৫)
তাদের খোঁজখবর রাখা।
(তিরমিজি, হাদিস : ১৪২৬)
প্রয়োজন মেটানো। (তিরমিজি, হাদিস : ১৪২৬)
গীবত না করা বা দোষ প্রকাশ না করা।
(সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)
ক্ষমাশীল হওয়া। (সুরা : নূর, আয়াত : ২২)
পরামর্শ গ্রহণ করা ও দেওয়া।
(সুরা : শুরা, আয়াত : ৩৮)
সৎ কাজে আদেশ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা।
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০) ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, বিশেষ অধিকারগুলো সাধারণ অধিকারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত অপর মুসলমানের অধিকারগুলো সংরক্ষণে যত্নবান হওয়া, পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা।