বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলে ১৪৪ ধারা: সমাবেশে থমথমে পরিবেশ

ন্যাশনাল ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংগৃহীত ছবি | উত্তরা নিউজ

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় একই স্থানে দুই পক্ষের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টায় বাসাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের। এ উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল।

অন্যদিকে, একই স্থান ও সময়ে সমাবেশের ডাক দেয় ‘ছাত্রসমাজ’। তাদের পক্ষ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেন রনি মিয়া নামের একজন ছাত্রনেতা। তবে আবেদনে তার মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। সমাবেশে অতিথি কারা থাকবেন, তাও স্পষ্ট করা হয়নি। রনি মিয়া জানান, “আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ হবে।”

এ অবস্থায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আকলিমা বেগম ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “একই তারিখ ও একই সময়ে দুটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে রক্তপাতসহ আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে। এজন্য জননিরাপত্তা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”

কাজী আশরাফ বলেন, “আমরা আগে অনুমতি নিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে একই সময়ে ছাত্রসমাজকে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, “অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল টিমও কাজ করছে।”

এদিকে সমাবেশগুলো ঘিরে পৌর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে না পারলে পৌরসভার অন্য কোনো স্থানে তারা কর্মসূচি পালন করবেন। অন্যদিকে ছাত্রসমাজও সমাবেশ বাস্তবায়নে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102