বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রি-অপারেশনাল সেফটি রিভিউ মিশন পরিচালনা করেছে। ১০–২৭ আগস্ট পর্যন্ত চলা এ মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর আগে কেন্দ্রটির নিরাপত্তা প্রস্তুতি ও কার্যক্রম মূল্যায়ন।
আমেরিকান নিউক্লিয়ার সোসাইটি পরিচালিত নিউক্লিয়ার নিউজওয়্যার জানিয়েছে, পাবনা জেলার পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপিত হবে, যা জাতীয় গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করবে। আইএইএ টিম রূপপুর-১ ইউনিটের নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, কর্মীদের দক্ষতা, অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ, জরুরি পরিস্থিতি প্রস্তুতি ও দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা করে।
১৪ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের এ দলে ছিলেন বুলগেরিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি। টিম জানিয়েছে, কেন্দ্রের কর্মীরা পেশাদার, দক্ষ ও নিরাপত্তা উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও অপারেশন তদারকিতে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
আইএইএ’র সিনিয়র নিউক্লিয়ার সেফটি অফিসার সাইমন মরগান বলেন, কমিশনিং থেকে পূর্ণ অপারেশনে রূপান্তর একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ব্যবস্থাপনা আশ্বস্ত করেছে যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব শর্ত পূর্ণ হওয়ার পরই এ ধাপে অগ্রসর হবে।
বিশেষজ্ঞরা রূপপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক সিমুলেটরের মাধ্যমে পরিচালিত প্রশিক্ষণকে “গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মিশন শেষে প্রাথমিক প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকারের মন্তব্য ও সুপারিশ যুক্ত হওয়ার পর আইএইএ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।