চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরা শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই সোসাইটি উত্তরা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ মানববন্ধনে প্রাক্তন চবিয়ানরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আমাদের শত শত সন্তানসম শিক্ষার্থীরা হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে, অনেকেই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, যা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, চবির প্রো-ভিসি, প্রক্টর ও একাধিক শিক্ষকও সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এখনো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তারা জানান, রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, কেবল অনুজদের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা থেকেই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন।
মানববন্ধন থেকে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়-
১. হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশ।
২. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার পূর্ণ ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের বহন।
৩. ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
৫. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয়করণ।
৬. ভবিষ্যৎ সহিংসতা ঠেকাতে স্থানীয় অধিবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যৌথ নীতিমালা প্রণয়ন।
প্রধান বক্তারা সতর্ক করে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সারাদেশের প্রাক্তন চবিয়ানরা আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন।