দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই অর্থবছরে (২০২১-২২ ও ২০২২-২৩) মোট ১৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে—৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ কোটি ৫৬ লাখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ কোটি ৭৫ লাখ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ কোটি ২৩ লাখ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ, বুয়েটে ৭ কোটি টাকার বেশি আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।
অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বাস করেও বাড়িভাড়া কম পরিশোধ, সরবরাহকারীর বিল থেকে ভ্যাট না কাটা, অগ্রিম বেতন-ভাতা সমন্বয় না করা, টেস্ট রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ, গাড়ি মেরামতে অতিরিক্ত ব্যয়, ব্যাংক হিসাব ও ক্যাশ বইয়ে গরমিলসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে এ ক্ষতি হয়েছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার হারিয়েছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব। কেবল অগ্রিম বেতন-ভাতা সমন্বয় না করার কারণে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। ভ্যাট কর্তন না করায় ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ৮ কোটি টাকার বেশি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের সুপারিশে বলা হয়েছে, আপত্তিকৃত অর্থ দ্রুত আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাখ্যা দেবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।