হাত ও মুখ বেঁধে নৃশংসভাবে নিজের স্বামীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল স্ত্রী এবং সৎ ছেলে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নরসিংহ কুপ্পা এলাকায় ঘটণাটি ঘটে। মৃতের নাম যদুভূষন দাস। পুলিশ এই ঘটনায় তার স্ত্রী দয়া দাস এবং তার সৎ ছেলে বিক্রমকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার রাতে সৎ ছেলে এবং মা মিলে বাবাকে নৃশংস ভাবে খুন করে। প্রথমে হাত-পা বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর ধারালো কোদাল এবং হাঁসুয়া দিয়ে একাধিকবার কোপানো হয়। এরপর রক্তাক্ত দেহ টেনে হিঁচড়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার সকালে এরপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে মা ও ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এলাকার অপর এক বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডল জানান, ‘এই বাড়িতে ছেলে বিক্রম, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী দয়া দাস ও তার বাবা যদুভূষণ দাস থাকতেন। পুলিশ এসে তার ঘর থেকে একটি কোদাল ও একটি হাঁসুয়া নিয়ে যায়। আমরা চাই তার যেন কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হয়।’
স্থানীয় কাউন্সিলর সুজিত সাহা জানান, ‘আমি সকাল বেলা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে পারলাম আমার ওয়ার্ডের মধ্যে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখলাম ঘটনা সত্য। রোববার গভীর রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটে। যদুভূষণ খুন হয়েছেন। তার বউ এবং তার সৎ ছেলে মিলে খুন করেছে এবং তারা নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ‘
থানার এক পুলিশকর্মী জানান, ‘যেভাবে তারা এসে খুনের কথা স্বীকার করল সেটা খুবই কম দেখা যায়। কারণ, সাধারণত অপরাধী সবসময় চেষ্টা করে নিজেকে আড়ালে রাখার। কিন্তু এদের এই স্বীকারোক্তি শুনে প্রথমে সবাই কিছুক্ষণের জন্য হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দেহ এবং খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। হতে পারে অভিযুক্তদের কোনও তীব্র ঘৃণা হয়তো নিহতের প্রতি ছিল। যার জেরে এরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। যদিও গোটা বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।’