মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দূর্ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অসদাচারণের অভিযোগ উঠেছে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
আজ (রবিবার) সকাল ৯টায় রাজধানীর দিয়াবাড়িতে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মেইন ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে ৯ দফা দাবির স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে স্মারকলিপি গ্রহণ করেননি মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শোকাহত পরিবারের সদস্যদের রুমে বসিয়ে রেখে স্কুল কর্তৃপক্ষের চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ক্যাম্পাসে প্রবেশে অভিভাবকদের সাথে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা জানান- কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, দুর্ঘটনার দিনের স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ, নিহত ও আহত শিক্ষার্থী পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে আলাদাভাবে জরিমানাসহ ৯ দফা দাবির ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়নি মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছেন অভিভাবকরা। তবে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেনি। এমনকি নিহত ও আহত পরিবারের এসব সদস্যদের সাথে দেখা করতে আসেননি প্রিন্সিপাল।
স্মারকলিপি জমা দিতে আসা নিহত শিক্ষার্থী মারিয়ামের মা উম্মে তামিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রিন্সিপাল আমাদের বাকি সন্তানদের প্লে থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ফ্রি পড়াশোনা করানোর আশ্বাস দিয়ে আমাদের চুপ থাকতে বলেছেন। কিন্তু, আজ তিনি আমাদের সামনেই আসছেন না। তারা আমাদের স্মারকলিপিও নিচ্ছে না। তবে কি অভিভাবকদের পাশে থাকার এটাই নমুনা তাদের?
অপর নিহত শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তারের মামা লিয়ন মীর বলেন, আমরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। একজন অভিভাবককে মারধরের বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদের দাবি পূরণ তো হয়নি, উল্টো আজ স্মারকলিপিও গ্রহণ করলো না তারা।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে এ সময় মাইলস্টোনের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে আহত-নিহত পরিবারের সদস্যরা ক্যাম্পাসের ভিতরে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিং করেন। শোকাহত অভিভাবকরা জানান, মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিগুলোকে উপেক্ষা করছে এবং ফেসবুকে তাদের নিয়ে ট্রল করছে।