৫ই আগস্ট জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ‘রিক্সা নান্নু’ তার দলবল নিয়ে পালিয়ে গেলেও, তার বিশ্বস্ত সহযোগী ও শ্রমিক লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন বাবুর্চি এখনো নিকুঞ্জ এলাকায় বহাল তবিয়তে। এলাকাবাসীর কাছে এটি এক বিস্ময়কর ঘটনা।
আওয়ামী সরকারের সময়কালে বাবুর্চি নান্নুর অন্যতম আস্থাভাজন হিসেবে নিকুঞ্জ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিল। তখন সে একদিকে ছিল নান্নুর ক্যাশিয়ার, অন্যদিকে অটোরিকশার লাইনম্যান। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে মাসিক ২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতো এই সিন্ডিকেট।
গত ৩০ এপ্রিল এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলেও, বাবুর্চি শুরু থেকেই তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় অটোরিকশা চালুর পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর মতে, এটি তাদের প্রতি এক ধরনের চরম ধৃষ্টতা ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
নিকুঞ্জ টানপাড়া ও জামতলার যেসব অটোরিকশা মালিক আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত, তারা এখনো এলাকায় পুনরায় অটোরিকশা চালুর অলীক স্বপ্ন দেখছে। এতে জনমনে প্রশ্ন উঠছে—বাবুর্চির এই বহাল তবিয়ত, তার রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পুনরায় অটোরিকশা চালুর দিবাস্বপ্ন আসলে কার বা কাদের ইশারায় টিকে আছে?