মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম উপেক্ষা, গণমাধ্যমে ‘মিথ্যাচার’ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অপপ্রচারের’ জবাব দাবিতে রোববার (১৭ জুলাই) আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য তারা ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে প্রথমে কর্তৃপক্ষ বাধা দেয় এবং গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে স্বজনরা জোর করে ভেতরে প্রবেশ করে সাংবাদিকদেরও সঙ্গে নিয়ে যান।
ক্যাম্পাসের ভেতরে আহত-নিহত পরিবারের সদস্যরা প্রিন্সিপালের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে স্মারকলিপি দিতে চাইলে তিনি উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান এবং মিডিয়ার সামনে স্মারকলিপি গ্রহণেও রাজি হননি।
এ সময় নিহত শিক্ষার্থী মারিয়ামের মা উম্মে তামিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “প্রিন্সিপাল আমাদের সন্তানদের ফ্রি পড়াশোনার আশ্বাস দিয়ে চুপ থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বললেন না, স্মারকলিপিও নিলেন না।”
ফাতেমা আক্তারের মামা লিয়ন মীর বলেন, “আমরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ৯ দফা দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি তো মানা হলোই না, উল্টো স্মারকলিপি গ্রহণ করতেও অস্বীকৃতি জানানো হলো।”
পরে আহত-নিহত পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিং করে অভিযোগ করেন, মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি উপেক্ষা করছে এবং ফেসবুকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে।