বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, পরিচ্ছন্ন ও উপভোগ্য নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “যদি বৈধ না হয়, তবে নির্বাচনের কোনো মানেই হয় না।”
মালয়েশিয়া সফরকালে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে (সিএনএ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর এটাই হবে প্রথম নির্বাচন। সহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে। তার বিরুদ্ধে স্বৈরশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভিন্নমত দমনের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন এবং অনুপস্থিতিতেই দেশে তার বিচার চলছে।
সিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিরোধের ডাক দিলেও বাংলাদেশ সরকার ভারতকে তাকে নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানায়। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, সামাজিকমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবাসনের অনুরোধও নাকচ করেছে নয়াদিল্লি।
প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “হাসিনাকে ফেরাতে আমরা সংঘাতে যাচ্ছি না। তবে তাকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
সম্প্রতি চীন সফরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের কৌশলগত প্রবেশদ্বার হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তান ও চীনের মতো ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ঢাকা।
অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, নির্বাচন শেষে আর সরকারে থাকার পরিকল্পনা নেই তার। তবে তিনি আশাবাদী, “এখন থেকে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোবে, আর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।”