২০১৩ সালে গুম হওয়া ছাত্র নেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ।
আজ দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় জুমার নামাজের পর মুন্নার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় এম কফিল উদ্দিন বলেন,“ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারি হাসিনার অত্যাচার, জুলুম ও নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যার প্রমাণ হলো আজ থেকে ১২ বছর আগে মুন্নাকে গুম করা। আমরা কিংবা মুন্নার পরিবার এখনো জানি না মুন্না কোথায় আছে বা কেমন আছে। এরকম শত শত, হাজার হাজার মুন্নার খোঁজ আমরা এখনো পাইনি।”
তিনি বলেন,“স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছে মুন্নাদের মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করার কারণে। আমাদের দলের চেয়ারম্যান সরকার গঠন করলে খুনি হাসিনা ও তার সকল সহযোগীদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”
কফিল উদ্দিন আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী গুম, খুন ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে সবসময় থাকবে বিএনপি।
এ সময় মুন্নার মা ময়ূরী বেগম উত্তরা নিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর দক্ষিণখানের প্রেমবাগান থেকে রাত ১০টার দিকে তার ছেলেকে গুম করা হয়। সেই সময় থানায় গিয়ে জিডি করার চেষ্টা করলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তিনদিন পর ‘নিখোঁজ’ উল্লেখ করে একটি জিডি নেয়া হয়।
মুন্নার মা জানান, “আমাদের পরিবারকে অনেক হয়রানি করা হয়েছে। আমার ছোট ছেলে কলেজে যেতে পারেনি। আমাদের পুরো পরিবারটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আমার একটাই দাবি-বিএনপি ক্ষমতায় এলে যেন আমার সন্তানসহ সব গুম-খুনের শিকারদের সঠিক বিচার করে।”
এ সময় মুন্নার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে মুন্নার মায়ের হাতে একটি আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন এম কফিল উদ্দিন।
উল্লেখ্য, নিজাম উদ্দিন মুন্না বিমানবন্দর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে তাকে গুম করা হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি এই ছাত্রনেতার।