কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। এর তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টায়ও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে, ফলে আশপাশের নিম্নাঞ্চলে প্লাবন দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, পানির প্রবল স্রোতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়ন, জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়ন এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, লালমনিরহাটসহ কুড়িগ্রামের নদীপারের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম জানান, উজানের ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো তলিয়ে গেছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো—মোট ৪৪টি স্লুইসগেট—খোলা রাখা হয়েছে।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সারাদিন পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও বুধবার ভোর থেকে তা সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীপারের বাসিন্দারা জানান, পানি বাড়তে থাকায় তারা গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উঁচু স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেক এলাকায় ইতোমধ্যেই ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল।