রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বেতকা ও রাখালগাছি চরাঞ্চলের ১০টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার প্রতিদিনই জীবন ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল পদ্মা নদী পারাপার করছে। একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত নৌকা হওয়ায় বর্ষাকালে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ও শুষ্ক মৌসুমে ২০ কিলোমিটার নৌপথ অতিক্রম করতে হয় স্থানীয়দের।
প্রতিদিন উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড় থেকে বেতকা ও রাখালগাছি ঘাটে ১২টি বড় ট্রলারে ২–৩ হাজার যাত্রী ও পণ্য পারাপার হয়। অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বসার জায়গার অভাব ও ঝড়-বৃষ্টির সময় নৌযাত্রা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। জরুরি চিকিৎসা কিংবা সন্তান প্রসবের সময়ও নদী পারাপারের ওপর নির্ভর করতে হয় স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, অন্তর মোড় থেকে ঘাট পর্যন্ত রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ও যাত্রীছাউনির অভাব যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। ইজারাদাররা যাত্রীসুবিধা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, অন্তার মোড়–বেতকা নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করে। রাখালগাছি হয়ে পাবনার ঢালারচর রেলস্টেশনে সংযোগ থাকায় এ রুটটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তার মোড় থেকে বেতকা পর্যন্ত সেতু হলে রাজবাড়ী–পাবনা অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে।