ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণাপত্রে আন্দোলনের মূল চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি—এমন অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তাঁর দাবি, এতে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষায় সেকেলে ও গতানুগতিক বিষয় সংযোজন করে গুম, খুন ও নির্যাতনের ১৬ বছরের প্রেক্ষাপট আড়াল করা হয়েছে, যা জনগণের মনে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নুর বলেন, “যে সিস্টেম শেখ হাসিনার মতো শাসক তৈরি করেছে, সেটি টিকিয়ে রেখে কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের গঠন কাঠামোয় বড় ধরনের সংস্কার না হলে পুরনো শাসনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।”
তিনি সতর্ক করে দেন, আওয়ামী লীগকে প্রশাসন ও রাজনীতির জায়গায় পুনর্বাসন করলে সেটি হবে “মারাত্মক ভুল”। পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারকে নৈতিক বাধ্যবাধকতা আখ্যা দিয়ে বলেন, পরিবর্তনের আহ্বান জানাতে হলে সবার আগে নিজেদেরও পরিবর্তিত হতে হবে।
আলোচনায় নুর ক্ষমতার রাজনীতির বদলে আদর্শিক ও জনমুখী রাজনীতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আন্দোলনের চেতনা যেন ক্ষমতা দখলের পণ্যে পরিণত না হয়—এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”