অন্তর্বর্তী সরকার সারাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন ও একাধিক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি জানান, আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতাভিত্তিক পেমেন্ট ধারা বাতিলসহ স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা চলছে। বাতিল করা হয়েছে কুইক রেন্টাল আইনও। লক্ষ্য—বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে সাশ্রয়ী দাম বজায় রাখা।
সরকার গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। বাপেক্সকে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বছরের মধ্যে দৈনিক ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ এবং ২০২৮ সালের মধ্যে স্থানীয় কূপ থেকে অতিরিক্ত ১,৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আহরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ কমিয়ে বছরে প্রায় ২,৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট সাশ্রয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে মহানগরের বিদ্যুৎ লাইন ও সাবস্টেশন ভূগর্ভস্থ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতায় নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি হয়েছে।
ডিসেম্বরের মধ্যে ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ধাপে ধাপে উৎপাদন শুরু করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।