ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ জনে।
মহারাষ্ট্র থেকে গঙ্গোত্রীর পথে রওনা হওয়া ১৬ জনের সঙ্গে ঘটনার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পরে এখনো কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকার ধরালি গ্রামে হঠাৎই প্রবল জল-পাথর-মাটির স্রোত নেমে আসে। বহু হোটেল-রিসর্ট এবং বাসভবন স্রোতে ভেসে যেতে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে।
ওই এলাকাটি গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান বলছেন, প্রায় চারশ পর্যটক এখনও ওই এলাকায় আটকে আছেন। তাদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে আনার কাজ চলছে।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বুধবার রাত পর্যন্ত ১৯০ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও হেলিকপ্টার ওড়া শুরু হয়েছে এবং ৪৪ জনকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দিয়েছে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী – এনডিআরএফ, সেনাবাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ওই অঞ্চলে।
গঙ্গোত্রী পর্যন্ত রাস্তা বহু জায়গায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ফলে উদ্ধার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ইন্সপেক্টর জেনারেল অরুণ মোহন যোশী জানিয়েছেন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার যদি উদ্ধারকারী দল হর্ষিল এলাকায় পৌঁছে যেতে পারেন, তাহলে উদ্ধার কাজে আরও গতি আসবে।