২০২৫-২৬ অর্থবছর শুরু হলেও এখনো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এমনকি মাসিক রাজস্ব আহরণের তথ্য প্রকাশেও নিয়মিত বিলম্ব হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ মাস জুনের রাজস্ব তথ্য প্রকাশ পায় ৩১ জুলাই, অর্থাৎ এক মাস পর।
এনবিআরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জনবল সংকটের কারণেই প্রতিবেদন প্রকাশে এ ধরনের বিলম্ব হচ্ছে।
তিনজনের কাঁধে গোটা বিভাগের দায়িত্ব মঞ্জুরীকৃত জনবল কাঠামো অনুযায়ী, এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুবিভাগে থাকার কথা একজন মহাপরিচালক, একজন উপপরিচালক, চারজন সহকারী পরিচালক, ১২ জন পরিসংখ্যান অনুসন্ধায়ক, তিনজন গবেষণা কর্মকর্তা ও তিনজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা।
কিন্তু এনবিআরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে এ অনুবিভাগে কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন—দুইজন গবেষণা কর্মকর্তা ও একজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা। মহাপরিচালকের পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।
সেমিনারেও জনবল বৃদ্ধির সুপারিশ
গত সোমবার এনবিআর ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে জনবল বৃদ্ধির পরামর্শ এসেছে। উপস্থিত বক্তারা বলেন, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় রাজস্ব সংক্রান্ত গবেষণা হয় না, সঠিক ও সময়মতো পরিসংখ্যানও প্রকাশ পায় না। ফলে গণমাধ্যম ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় তথ্যের সংকটে পড়ে।
নিয়োগবিধি নেই, তাই নিয়োগও নেই এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, “১২ জন অনুসন্ধায়ক পদের অনুমোদন থাকলেও এখনো তাদের নিয়োগবিধি চূড়ান্ত হয়নি। ফলে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। অর্গানোগ্রাম ও নিয়োগবিধি সংশোধনের কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও আমরা দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই। মহাপরিচালক পদে আপাতত একজন কমিশনার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। জনবল পেলেই এই পদে পূর্ণকালীন নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”