ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলায় গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আকস্মিক মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। ধারা খিরগঙ্গা নদীর জলপ্রবাহ দ্রুত ফুলে ওঠার পর পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে আসা কাদাযুক্ত পানির স্রোতে সম্পূর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
উত্তরকাশীর ধরালি গ্রামে বন্যার প্রবল ঢলে সড়ক, বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হলেও খারাপ আবহাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে ত্রাণকর্মীরা দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, তবে সীমান্ত পুলিশের অন্তত ১০ সদস্যের নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে কাদা ও ধ্বংসাবশেষের কারণে উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে চলছে। বন্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বহু অংশে ধসে গেছে এবং বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত।
বিশেষত, ভাগীরথী নদীর একটি অংশ আটকে যাওয়ায় আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বৃহৎ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসন সতর্ক করে বলছে, পানি দ্রুত মুক্ত না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এ মুহূর্তে উদ্ধারকর্মীরা বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও মানবিক সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।