বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এনসিপির ঘোষণা: দুপুরে শক্ত বার্তা

ন্যাশনাল ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
সংগৃহীত ছবি | উত্তরা নিউজ

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক ভাষণ ও জুলাই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটেই দলীয় প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি জানায়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব ও রাজনৈতিক দলগুলোর সংলগ্নতা নিয়ে তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকা ২৮টি দফা সম্পর্কে এনসিপির বক্তব্য, এটি সময়োপযোগী রাজনৈতিক দলিল হতে পারে, যদি এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও নীতিগত দিকনির্দেশনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

এর একদিন আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার পর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা তুলে ধরা হয় এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা হিসেবে ২৮টি দফা উপস্থাপন করা হয়।

ঘোষণাপত্র পাঠের সময় ড. ইউনূসের পাশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) এবং আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।

জুলাই ঘোষণাপত্রটি দেশে একটি অন্তর্বর্তী রাজনৈতিক বিন্যাসের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তবে এনসিপির মতো ক্ষুদ্র ও মধ্যমপন্থী দলগুলোর প্রতিক্রিয়া বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা একদিকে বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনের সম্ভাব্য শক্তি, আবার অন্যদিকে প্রধান দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করতে পারে।

এনসিপির বক্তব্যে আরও উঠে আসে, শুধু রাজনৈতিক উচ্চারণ নয়, ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত প্রতিটি দফা যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র পরিচালনায় কার্যকর ভিত্তি তৈরি করে—এটাই হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের লক্ষ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102