দেশের বাজারে ‘মিনিকেট’ ও ‘নাজিরশাইল’ নামে চাল বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কারণ, এ নামে প্রকৃত কোনো ধানের জাত নেই। মূলত ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের ধানের চালই মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করে বাজারজাত করা হচ্ছে—যা একপ্রকার প্রতারণা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, এইসব ভুয়া নাম ব্যবহার করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ অনিয়ম রোধে অধিদপ্তর তিন ধাপে অভিযান শুরু করেছে।
প্রথম ধাপে জুলাইয়ের মধ্যেই এসব অননুমোদিত নামে চাল বাজার থেকে সরাতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্যাকেট পরিবর্তন ও বাজার মনিটরিং চলবে। তৃতীয় ধাপে ১৬ আগস্ট থেকে ‘মিনিকেট’ বা ‘নাজিরশাইল’ নামে চাল বিক্রি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালে প্রণীত বিধিমালায় স্পষ্টভাবে জানায়, অনুমোদিত জাত ছাড়া অন্য নামে চাল বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন অনুযায়ী, ভুয়া নামে চাল বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, “ধানের প্রকৃত নামেই চাল বাজারজাত করতে হবে—এটাই সরকারের সিদ্ধান্ত। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকার ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অননুমোদিত চাল সরবরাহ ঠেকাতে নির্দেশ দিয়েছে।