গত ২১ জুলাই ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মানসিক পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় প্রতিষ্ঠানটি। দুর্ঘটনার পরপরই ১২ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয় এবং ৪ ও ৫ আগস্ট আয়োজন করা হয় গ্রুপ কাউন্সেলিং ও মানসিক প্রশমন কর্মসূচি।
প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ্ বুলবুল জানান, শিক্ষার্থীদের মনের জোর ফেরাতে শুরুতেই বিভিন্ন সহায়ক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসজুড়ে চলবে ধারাবাহিক মনোসামাজিক কাউন্সেলিং।
অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল আলম বলেন, “আমরা কাউকে জোর করিনি। অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।” বিশেষ করে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বেশি হওয়ায় তাদের জন্য পৃথক কাউন্সেলিং সেশন চালু করা হয়েছে।
প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের ক্লাসগুলোও ধাপে ধাপে চালু করা হবে। পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে ব্র্যাক, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কলেজের নিজস্ব সাইকোলজিস্টদের নিয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) নুরুন নবী জানান, “যারা এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়, তারা চাইলে অন্য শাখায় বা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের সুযোগ পাবে।” দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে আপাতত কোনো শিক্ষা কার্যক্রম চলবে না বলেও তিনি জানান।
সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা হবে।