ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলায় ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হর্ষিল উপত্যকার ধরালী গ্রামে আকস্মিক জলস্রোত, ভূমিধস ও পাথর গড়িয়ে পড়ে একাধিক আবাসিক হোটেল ও ভবন ধসে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত চার জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে, আরও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রবল স্রোত ও মাটির চাপ একে একে একাধিক হোটেল গুঁড়িয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ি খাদ বেয়ে নেমে আসা কাদামাটি, পাথর ও জলস্রোত গ্রামটির উপর হুহু করে নেমে আসছে, এবং তাসের ঘরের মতো বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে।
প্রাথমিক স্রোতের পর ১০-২০ মিনিটের ব্যবধানে একের পর এক কাদার ঢল ধেয়ে আসতে থাকে। তবে ঘটনার পূর্বাভাস বা কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্কুল ছিল খোলা, এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চলছিল।
উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। বিকেলেও কাছাকাছি এলাকায় আরেকটি মেঘভাঙার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম, যা নতুন করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, উষ্ণ ও ঠান্ডা বাতাসের সংঘর্ষে ঘন মেঘ তৈরি হয়ে এক পর্যায়ে প্রচণ্ড চাপে ফেটে গিয়ে এই ধরনের মেঘভাঙা বৃষ্টির সৃষ্টি হয়, যা স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে অনেকগুণ ভারী এবং বিধ্বংসী হয়ে থাকে।