মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মে মাসে রয়টার্স জানায়, জে-১০ বিমান দিয়ে অন্তত একটি রাফাল ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। এই খবরে সামরিক বিশ্লেষকরা অবাক হয়েছেন।একই সঙ্গে অপরীক্ষিত চীনা বিকল্পের বিরুদ্ধে পশ্চিমা সামরিক সক্ষমতার কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে এই ডগফাইট।
তবে দুই ভারতীয় কর্মকর্তা এবং তাদের তিন পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সাথে রয়টার্সের সাক্ষাত্কারে দেখা গেছে, রাফায়েলের কার্যকারিতা মূল সমস্যা ছিল না! এটি ভূপাতিত করার কেন্দ্রবিন্দু ছিল জে-১০ যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা চীনের তৈরি পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা সম্পর্কে ভারতীয় গোয়েন্দা তথ্য প্রদানে ব্যর্থতা।
চীন ও পাকিস্তান ছাড়া জে-১০ যুদ্ধবিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র কারো হাতে না থাকায় এ সম্পর্কিত বিস্তারিত নির্ভুল তথ্য ভারতের কাছে পৌঁছাতে পারেনি তাদের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দারা।
পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা নিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য রাফায়েল পাইলটদের একটি মিথ্যা আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল যে তারা পাকিস্তানিদের কিছু করার মতো দূরত্বের বাইরে ছিল। বৈমানিকরা ধারণা করেছিলেন ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা মাত্র ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।
তবে ভারতীয় পাইলটদের বিভ্রান্ত করতে ইসলামাবাদ দিল্লির সিস্টেমে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার হামলা চালিয়েছে জানিয়ে পাক বিমান বাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছি। ভারতীয় কর্মকর্তারা এই প্রচেষ্টার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক করেছেন।’
লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) বিমান যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, ‘ভারতীয়রা গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা ভাবেনি। এবং পিএল-১৫ স্পষ্টতই দীর্ঘ পরিসরে খুব সক্ষম।’
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, রাফালে আঘাত হানা পিএল-১৫ বিমানটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪.২৭ মাইল) দূর থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এটি রেকর্ড করা দীর্ঘতম পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার স্ট্রাইকগুলির মধ্যে অন্যতম।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা ভুলের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেয়নি। এছাড়া পাকিস্তানের গুলিতে রাফায়েল ভূপাতিত হওয়ার কথাও স্বীকার করেনি দিল্লি।
তবে ফ্রান্সের বিমানবাহিনী প্রধান জুন মাসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি ওই যুদ্ধবিমান এবং রাশিয়ার তৈরি সুখোয়সহ ভারতের আরও দুটি বিমান হারানোর প্রমাণ দেখেছেন।