উত্তরার মেট্রো রেলস্টেশন ‘উত্তরা উত্তর’-এর নিচে লেগুনার ধাক্কায় নটরডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধ্রুবজ্যোতি বোস গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর কপাল ফেটে প্রচুর রক্তপাত হয় এবং ২০ টি সেলাই দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে কলেজে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর মাথায় ২০টি সেলাই লেগেছে, কপালে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্টেশনের নিচে অবস্থিত অস্থায়ী লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী ওঠানোর সময় একটি লেগুনা বেপরোয়া গতিতে চলছিল। একটি থেমে যাওয়া লেগুনাকে আরেকটা লেগুনা দ্রুতগতিতে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। এই লেগুনাতে শিক্ষার্থী ধ্রুবজ্যোতি ছিলেন। লেগুনা উল্টে পড়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ধ্রুবজ্যোতি বলেন, “এই লেগুনাগুলো কোনো নিয়ম মানে না। মনে হয় বেশির ভাগ চালকের লাইসেন্সই নেই। এমনকি ১৪–১৫ বছরের বাচ্চারাও চালায়। এত ছোট বয়সে তারা কীভাবে রাস্তায় গাড়ি চালায়? এসব দেখার কি কেউ নেই?”
তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালে আমরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় রাস্তায় নেমেছিলাম, সংগ্রাম করেছি, রক্ত দিয়েছি। আজ আবার দিতে হলো। কিন্তু এখনো বাস্তব কোনো পরিবর্তন আসেনি। আজ যদি আমি মরতাম, তাহলে কে দায় নিত? আগামীকাল আরেকজনের সঙ্গে এমন কিছু হবে না—এই নিশ্চয়তা কে দেবে?”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ‘উত্তরা উত্তর’ স্টেশনের নিচে একটি অস্থায়ী লেগুনা স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এখান থেকে লেগুনাগুলো উত্তরার হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে। এসব লেগুনার চালকের বড় একটি অংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীসহ ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে এই অরাজকতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।