ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর আশুলিয়া ঘটনার শহীদদের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, “এই শোককে আমরা শক্তিতে রূপান্তর করব। যারা দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
বুধবার বিকেলে ঢাকা ইপিজেড নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ মাদরাসার সামনে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা।
আমিনুল হক আরও বলেন, “দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানাই।”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যেভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় জনগণের উপর প্রভাব বিস্তার করছে, বিএনপির কেউ সে পথে হাঁটবে না। আমাদের নেতার নির্দেশ—জনগণের পাশে থাকতে হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। স্বৈরাচার থেকে মুক্তি পেলেও বাংলাদেশ এখনো স্বৈরতন্ত্রমুক্ত হয়নি।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিপূন রায়। বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সুলতানা আহমেদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন এবং আশুলিয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।