বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার সকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ও ‘মায়ের ডাক’-এর যৌথ আয়োজন ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বললেন, “জনগণের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “কিছুদিন আগে এক ভাই তার শিশু ছেলের ছবি দেখিয়ে বললেন, “সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের দাবি করেছিল।” আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি আমাদের অধিকারের জন্যে। এ লড়াইয়ে আমাদের এই পরিবারগুলো আত্মহুতি দিয়েছে। তারা ত্যাগ করেছে। আমরা সবাই কিন্তু তা করতে পারেনি। আজকে আমরা অনেকেই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভালো ভালো জায়গা দখল করে বসে গেছি। অনেকে মন্ত্রী (উপদেষ্টা) হয়েছি, অনেকে বড় বড় কর্মকর্তা হয়েছি। অনেকে আমরা বড় বড় ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের এই শিশুদের কথা কিন্তু সেইভাবে সামনের দিকে এগিয়ে আনতে পারিনি।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, গণতন্ত্রের প্রতি কমিটেড এই অন্তর্বর্তী সরকার এই শিশুদের (জুলাই আন্দোলনের আহত শিশু) পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন এবং তাদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য কাজ করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটি হয়নি।”
“আজ আপনাদের সামনে বলতে চাই, আমরা রাষ্ট্রের পরিবর্তন চাচ্ছি, সংস্কার চাচ্ছি, কিন্তু সেই সংস্কার সেই কাঠামো যদি আমার মানুষের সার্বিক উন্নয়নে না আসে, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সাহায্য না করে তাদের একটা নিরাপদ জীবন দিতে না পারে; তবে সেই সংস্কার কোনো কাজে আসবে বলে আমি মনে করি না। আমি আশা করবো, অন্তর্বর্তী সরকার বিলম্ব হলেও তাদের পুনর্বাসনে কাজ করবেন-উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
এসময় তিনি গুম কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “একটা কমিশন গঠন করা হয়েছে গুম কমিশন। সেই কমিশন এখন পর্যন্ত শুধু একটা রিপোর্ট দাখিল করেছে। কিন্তু গুম হওয়াদের খোঁজ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি দূর এগিয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।”
বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার প্রসঙ্গে, ‘আমি এ টুকু কথা দিতে পারি, আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে যদি আমাদের দল নির্বাচিত হতে পারে, তাহলে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব যে কথা দিয়েছেন, এই শিশুদের এবং এই পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন’-যোগ করেন মির্জা ফখরুল।