শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শিল্পীর পরিবার থেকে গণমাধ্যমকে জানান যে, বাবা জসীমের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ছেলে রাতুল। এদিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের পার্ক মসজিদে রাতুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, এ কে রতুল ছিলেন এক অসাধারণ প্রযোজকও। দেশের রক সংগীতের নানা ব্যান্ডের জন্য তিনি তৈরি করেছেন একাধিক হিট অ্যালবাম। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন এ কে রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে। এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত ছিলেন ‘ওইনড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওইনডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার।
এ কে রাতুল ছিলেন বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড রক সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নাম। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘1’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘2’ মুক্তি পায়। দুই অ্যালবামই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মারা গেছেন জসীম। মৃত্যুর দুই যুগ পরও ভক্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে খলনায়ক থেকে নায়ক বনে যাওয়া জসীমের।