গত দুই দশকে শিক্ষার মান, অবকাঠামো, প্রযুক্তি ও গবেষণার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী উন্নয়ন ঘটিয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। পাঁচটি অনুষদের অধীনে পরিচালিত ৩৮টি প্রোগ্রামে বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীরা সক্রিয়।
সমকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা লেখা বলেন, “গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা শুরু থেকেই নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, সময় ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, গবেষণা প্রকাশনা এবং যৌথ গবেষণায় আমাদের উপস্থিতি বাড়ছে।”
গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার এ ধারাবাহিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ফর ইনোভেশন (WURI) ২০২৫–এ উত্তরা ইউনিভার্সিটি স্থান করে নিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। এবারের র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ২৫৭তম, যা গত বছরের তুলনায় ১৯ ধাপ অগ্রগতি।
কর্মসংস্থানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ক্যারিয়ার ওয়ার্কশপ, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সেমিনার, সফট স্কিল ও পাবলিক স্পিকিং প্রশিক্ষণ। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাতের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে ইন্টার্নশিপ ও চাকরির বাস্তব সুযোগ।
উপাচার্য বলেন, “আমরা শুধু একাডেমিক নয়, বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা তৈরিতে বিশ্বাসী। এজন্য নিয়মিত আয়োজন করছি এইচআর সামিট, যেখানে অংশ নেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।”
দুটি দশকের যাত্রায় উত্তরা ইউনিভার্সিটি আজ শুধু উচ্চশিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি উদ্ভাবনী, গবেষণামুখী ও ভবিষ্যতমুখী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।