গত ২০ জুলাই উত্তরা সেক্টর-৪ কল্যাণ সমিতি এক বিজ্ঞপ্তিতে নাটক শুটিংয়ের কারণে জনসমাগম, শব্দদূষণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে এলাকাবাসীকে শুটিংয়ের জন্য বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানায়। এর পর থেকেই নির্মাতা ও শিল্পীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শুটিংয়ের জটিলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আলোচনায় বসে উত্তরা আবাসিক কল্যান সমিতির প্রতিনিধি ও ছোট পর্দার বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
আলোচনার মাধ্যমে সমোঝতা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু। তিনি বলেন, ‘ছোট পর্দার সব সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) দ্রুত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে কল্যাণ সমিতিতে জমা দেবে। সমিতির যেসব শর্ত আলোচনায় উঠেছে, তার সবই আমাদের খসড়া নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই আমি সমাধানে কোনো জটিলতা দেখছি না। বরং এটিই হতে পারে ভবিষ্যতের জন্য একটি গঠনমূলক দৃষ্টান্ত।’
হাউস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ‘এফটিপিও থেকে যেসব নিয়মনীতি আমাদের দেওয়া হবে, আমরা তা অনুসরণ করেই কাজ করব। আবাসিক এলাকায় যেন কারও অসুবিধা না হয়, সেই অনুযায়ী হাউস পরিচালনা করা হবে।’
গাতকাল আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে শুটিংয়ের সময় নির্ধারণ। হাউস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে রাত ১১টার পর কোনো শুটিং করা যাবে না। পাশাপাশি রাস্তায় বা আউটডোরে শুটিং করলে যানজট ও জনভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’
উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় বর্তমানে তিনটি শুটিং হাউস নিয়মিত কাজ করছে—লাবণী-৪, লাবণী-৫ এবং আপন ঘর-২। এ ছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের শুটিং হাউস থাকলেও তা নিয়মিত নয়। দ্রুত শুটিং শুরু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।