মাইলস্টোন স্কুলের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ছামীমের মৃত্যু যেন শুধু একটি সংখ্যা নয়—তা হয়ে উঠেছে এক মায়ের হৃদয়ের চিরস্থায়ী ক্ষত।
নিহত ছামীমের মা, জুলেখা বেগম, কান্না থামাতেই পারছেন না। বারবার ছেলের শেষ কথা গুলো যেন তার হৃদয় ছুঁইয়ে যাচ্ছিলো। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন,
“ছেলে আমার ঘষাঘষি কাটাছাটিতে ছিল, ওকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার ছেলে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলো। একসময় অ্যাম্বুলেন্স চালককে বলে বসলো ভাইয়া হাসপাতাল কত দূরে, এত দূরে কেন? এত দূর হাসপাতাল হলে মানুষ মারা যাবে, হাসপাতাল কাছে বানালো না কেন?
তিনি আরও বলেন,
“আমাকেও বারবার বলছিল আম্মুগো হাসপাতালে তুমি আমা সাথে থাকবে তো? আমি বলেছিলাম, যেকোন বিনিময়ে আমি তোমার পাশে থাকবো বাবা।”
এই বলে তিনি কান্নায় আবার ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, আজ আমি থাকলেও নেই আমার বাবা টা।
ছামীমের মায়ের এই আহাজারি কেবল এক পরিবারের নয়, বরং গোটা জাতির বুকে আঘাত করা এক শোকগাথা। সময়মতো চিকিৎসা ও সংকট ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের অভাব কতটা নির্মম পরিণতি ডেকে আনতে পারে, ছামীমের মৃত্যু তার নির্মম প্রমাণ।