মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির এক করুণ অধ্যায়ের নাম হয়ে উঠেছে মাত্র ৭ বছরের শিশু জুনায়েদ।
সেদিন সকালে মাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, “আম্মু, আমি আজ স্কুলে যাব না।”
মা স্নেহভরে বলেছিলেন, “না রে বাবা, আজ যেতে হবে। স্কুল থেকে এসে আমরা ঘুরতে যাব। আমি তোমার জন্য চিকেন রান্না করব।” জুনায়েদের চোখে তখন আনন্দের ঝিলিক। খুশি মনে স্কুলের দিকে রওনা হয় ছোট্ট শিশু।
কিন্তু কে জানতো, এটাই তার শেষ যাত্রা?
ক্লাসরুমে সেদিন কোনো পড়া হয়নি, হয়নি কোনো খেলাধুলা—আকাশ থেকে নেমে আসা বিভীষিকায় ঝরে যায় তার নিষ্পাপ প্রাণ। দুই ঘণ্টার আতঙ্ক, ছুটে চলা, চোখের পানি আর কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনে বাবাকে করা কলের পর, মা যখন ছেলের পোড়া দেহটা নিজের চোখে দেখলেন—সে কান্না থামেনি এখনো।
তিনি কেঁদে উঠেছিলেন, “আমার বাজান তো আজ যেতে চায়নি! আমি জোর করে পাঠিয়েছি। ওর জন্য রান্না করছিলাম…আমার ছেলেটা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না?”
জুনায়েদ আর ফিরবে না—না তার খেলনা ঘরে, না স্কুলব্যাগ কাঁধে।
সে দিনটি রয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়,
২১ জুলাই ২০২৫ — একটি জাতির শোক, একটি মায়ের নিঃস্ব হবার দিন।