পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘বড় ধরনের ষড়যন্ত্র’ ও ‘চরম বৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, দেশের প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, যারা প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অথচ এই বিশাল অংশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার বাইরে রেখে হতাশ করা হয়েছে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ইসকান্দর আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাসচিব মো. রেজাউল হক। তিনি বলেন, “এ সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন, বৈষম্যমূলক ও শিশুদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।”
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পূর্বের ন্যায় সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় দেশব্যাপী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব নুরুজ্জামান কায়েস, লায়ন তাজুল ইসলাম নজরুল, আবুল কালাম আজাদ, ডা. মো. হাসান আলী, মো. হাসানুজ্জামান খসরু, মো. ইশরাফিল হোসেন ও আলহাজ্ব আব্দুল মতিন প্রমুখ।