ফেনীবাসীর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে সংগঠিত গণ-ত্রাণ কর্মসূচিতে উত্তোলিত অর্থের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তৎকালীন সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে ফেনী সফরকালে সারজিস আলম গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জানান, টিএসসিতে সংগৃহীত ত্রাণের অর্থ আন্তর্জাতিক অডিট ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে সরাসরি সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “নিজেদের লজিস্টিক ও জনবল না থাকায় সরাসরি বিতরণে অপচয়ের ঝুঁকি ছিল। তাই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।”
তিনি স্পষ্ট করেন, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন একটি মন্ত্রণালয়, যেখানে জনগণের আস্থা থাকা উচিত। প্রশ্ন থাকলে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সারজিস আরও জানান, স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের অনুরোধে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি ফেনী অঞ্চলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছে বিষয়টি অনুসন্ধানের। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জানার চেষ্টা করবেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মিডিয়াকে সত্য ও দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকেন্দ্রিক নয়।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় টিএসসিতে আয়োজিত গণ-ত্রাণ কর্মসূচির অর্থ ফেনীর জনগণের কাছে পৌঁছায়নি বলে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই প্রেক্ষাপটেই সারজিস আলম সরাসরি সাংবাদিকদের সামনে অবস্থান স্পষ্ট করলেন।