শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন

প্লেনটা মাথার উপর দিয়ে গিয়ে পাঁচ হাত দূরে পড়ছে

উত্তরা নিউজ প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
ফাইল ছবি: উত্তরা নিউজ

‘আমি পাঁচ হাত দূরে ছিলাম। প্লেনটা আমার মাথার উপর দিয়ে গিয়ে পাঁচ হাত দূরে পড়ছে। পাশেই বাচ্চাগুলো খেলতেছিল। একটা বাচ্চা পুরো খণ্ডবিখণ্ড হয়ে গেছে।’ দুপুরে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তকালীন মুহুর্তের পরিস্থিতি এভাবেই কাছে বর্নণা করেন প্রত্যক্ষদর্শী ফাতেমা আক্তার।

সোমবার বিকেলে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অভিভাবক ওই নারী জানান, মাঠে ছয়-সাতটা বাচ্চা খেলতেছিল। এরপর একটা শব্দ। পাশে তাকিয়ে দেখি চারটা বাচ্চা দোলনায় ছিল, একটাও নাই। আর পিছনে পুরো আগুন। সবগুলো মুহূর্তেই শেষ।

বিমান আছড়ে মুহুর্তের বর্ণণা দিতে গিয়ে ফাতেমা আক্তার জানান, বিমানটা আমি আমার মাথার উপরে দেখছিলাম। এরপর ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকানোর সময় পাই নাই। দেখি আগুন। আমার মাথার ওপর দিয়ে বিমানটা পড়ছে। আমি তখন পড়ে যাই।

ওই অভিভাবক বলেন, স্কুল ছুটি হয়েছে। টু-থ্রি বাচ্চারা অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা করতেছি। কিন্তু এর মধ্যেই এই ঘটনা। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ফাতেমা আক্তার বলেন, কতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ আমার চোখের সামনে ঝড়ে গেছে ভাই। আমি এইটা ভুলতে পারব না।
নিজের উদ্ধারের বিষয়ে ওই নারী অভিভাবক বলেন, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর আমার স্বামী এসে দৌঁড়ে আমাকে তুলছে। আমি ভাবছি আমি আগুনে পুড়ে মারা যাবো। আল্লাহ কিভাবে বাঁচিয়েছে আমি নিজেও জানি না।

বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার বলেন, বাচ্চারা ভালো রেজাল্ট করেছিল। সেজন্য সবাইকে ডেকেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। দূর্ঘটনার পর নিজের স্বামী ও বাচ্চাকে খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102