বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ, যা ছিল এক আবেগঘন বিদায় মুহূর্ত।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সপুরা ম্যাচ ফ্যাক্টরি মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহ নূর বিন সিদ্দিক।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আবু সুফিয়ান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর জামায়াতের আমির ড. কেরামত আলী, সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডলসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং নানা রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এর আগে দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তৌকির ইসলামের মরদেহ ঢাকা থেকে রাজশাহী সেনানিবাসে আনা হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় নগরীর উপশহর এলাকার তার পারিবারিক ভাড়া বাসায়। কিছু সময় পরিবারের কাছে রাখা শেষে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মরদেহ জানাজার জন্য স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়।
তৌকির ইসলামের অকাল মৃত্যুতে রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। বিদায়ী মুহূর্তে চোখের পানি ফেলেছেন তাঁর সহপাঠী, প্রতিবেশী ও সাধারণ মানুষ।