প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি দুই দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছাবেন। এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে ইউরোপের কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম ঢাকা সফর। সফরকালে বৈধ অভিবাসন ইস্যুতে অগ্রগতি ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার (৩১ আগস্ট) মেলোনি বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। বৈঠকে আলোচনার অন্যতম প্রধান এজেন্ডা থাকবে মে মাসে স্বাক্ষরিত ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি’ সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণ। অভিবাসন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দুই দেশের মধ্যকার এই চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সফরসংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি ও আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “অভিবাসন ছাড়াও বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। ইতোমধ্যে রোমের পক্ষ থেকে সফরের বিষয়ে সম্মতি এসেছে এবং ঢাকার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন।”
উল্লেখ্য, জর্জিয়া মেলোনি অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তার সরকারের এই নীতির প্রতিফলনই এবারের ঢাকা সফরে আরও স্পষ্ট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোদি ঢাকায় এসেছিলেন, যা ছিল ইতালির কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। দীর্ঘ ২৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ইতালির প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন।
এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা করছে কূটনৈতিক মহল। এতে শুধু অভিবাসন নয়, সামগ্রিক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাও এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।