এক বছর আগের এই দিনে উত্তরা রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন জাহিদুজ্জামান তানভিন। আর আজ সেই নির্মম মুহূর্তের হৃদয়বিদারক ভিডিওচিত্র ফেসবুক গ্রুপ “জুলাই রিভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স – জেআরএ”-এর একটি স্ট্যাটাসে প্রকাশিত হওয়ার পর আবারও কেঁপে উঠেছে সচেতন মানুষ ও তানভিনের সহযোদ্ধারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের সন্তানের নিথর দেহ দেখে বারবার মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন এক শোকাতুর মা। গুলিবিদ্ধ সন্তানের দেহকে জড়িয়ে ধরে তাঁর বুকফাটা কান্না যেন রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের এক নীরব দলিল। মায়ের আর্তনাদ বলছে, এই শোক শুধুই এক পরিবারের নয়, এটি পুরো জাতির হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক শহীদের ইতিহাস।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে—
“ঠিক এক বছর আগে এই সময়ে জাহিদুজ্জামান তানভিনকে খুব কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। গুলির স্প্রিন্টার তাঁর ঘাড় ও মাথায় ঢুকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি রাজপথেই শহীদ হন। উত্তারায় প্রথম শহীদ হিসেবে তিনি বরণ করে নেন বীরত্বময় মৃত্যু।”
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময়কার এই মৃত্যু শুধুমাত্র একজন তরুণের জীবনের ইতি টানেনি, বরং একটি আন্দোলনের প্রতীক ও প্রতিবাদের আগুনকে আরও জ্বালিয়ে দেয়। তার মৃত্যু আন্দোলনরত হাজারো তরুণ-তরুণীর কাছে সাহসের উৎস হয়ে দাঁড়ায়।
জাহিদুজ্জামান তানভিন ছিলেন একজন শিক্ষার্থী এবং প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তিনি একটি অবৈধ, দমনমূলক ও গণবিচ্ছিন্ন সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে।
আজ এক বছর পর, ভিডিওচিত্রের প্রকাশ ও তাতে মায়ের বুকভাঙা কান্না যেন প্রমাণ করে দেয়—জাহিদুজ্জামান তানভিন কেবল এক নাম নয়, তিনি এক শহীদ, এক চেতনার নাম, যিনি জীবনের বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় দমননীতির মুখোশ ছিঁড়ে দিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/18u8h8PtfG/