প্রেমিক ভারতীয় নাগরিক, অন্যদিকে প্রেমিকা বাংলাদেশের। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু শহরের কাজ করার সময় তার সাথে পরিচয় হয় ভারতীয় যুবকের, পরে প্রেম।পরবর্তীতে প্রেমিকা চলে যান তার নিজ দেশে। কিন্তু প্রেমিকার অনুপস্থিতে কিছুতেই কাজে মন বসাতে পারছিলেন না প্রেমিক দত্ত যাদব। তিনি চাইছিলেন প্রেমিকা যেন তার কাছাকাছি থাকে।
অবশেষে বাংলাদেশি প্রেমিকাকে ভারতে আনতে উদ্যোগ নেন কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদব। চলতি সপ্তাহে ত্রিপুরা রাজ্য দিয়ে ভারতে আসেন প্রেমিকা।
সেখান থেকে যাওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে। অভিযোগ প্রেমিকাকে ভারতে অনুপ্রবেশে সহায়তা করেন যাদব।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের উভয়কেই ত্রিপুরার সিপাহীজলার কামথানা থেকে আটক করে বিএসএফ। পরে তাদের স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার তাদের স্থানীয় আদালতে তোলা হয় এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
জানা গেছে, বাংলাদেশের বগুড়ার বাসিন্দা ওই নারী একসময় মুম্বাইয়ের বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ নেন তিনি।
বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন সময়ে ওই বাংলাদেশি নারী সাথে পরিচয় হয় ভারতীয় নাগরিক দত্ত যাদবের, যার বাড়ি কর্ণাটকের বিদারী জেলায়। যাদবের আমন্ত্রণেই পরে ওই বাংলাদেশি নারী ফের ভারতে আসেন। যদিও অভিযোগ, বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই তিনি ভারতে প্রবেশ করেন।
আর তাকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে কর্ণাটক থেকে ত্রিপুরা চলে আসেন দত্ত যাদব। কিন্তু বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগেই তাদের উভয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ওই বাংলাদেশি নারীকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশে কোন দালাল সহায়তা করেছিল আমরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
এই ঘটনাটি মানব পাচারের সাথে সম্পর্কিত কিনা সেটিও ক্ষতি দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তবে পরবর্তীতে এই দুজনকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।”