মোঃ সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করে এবং নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১১ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “৯ জুলাই বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মোঃ সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথায় পাথর মেরে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যা করে তারা শুধু সোহাগকে উলঙ্গই করেনি, তার লাশের উপর নৃত্য করে আনন্দ উল্লাসও করেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে মাথায় পাথর মেরে শতশত মানুষের সামনে এই হত্যার ঘটনা আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এই নির্মম দৃশ্য জাহেলিয়াতের লোমহর্ষক নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতাকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়। পাশবিক এই হত্যার ঘটনায় মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এভাবে পাশাবিক কায়দায় মানুষ হত্যা সভ্য সমাজে বিরল।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এসেছে চকবাজার থানা যুবদলের কয়েকজন নেতা নিহত সোহাগের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে যুবদলের সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। দেশবাসীর প্রশ্ন, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের লালন-পালনকারী দলের নেতারা যে রাজনীতির কথা বলে বেড়ায়, সেই দলের হাতে জনগণের জানমাল কতটা নিরাপদ? এই দলের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র কখনই নিরাপদ থাকতে পারে না। এই ঘটনায় আবার সেই পতিত ফ্যাসিবাদেরই পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সরকারকে এইসব দুর্বৃত্তদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নিকট নিহত সোহাগের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”