সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে দেশজুড়ে পালিত হয় চতুর্থ দিনের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলনকারীরা রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি চালিয়ে গেলে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ ঢাকাসহ অন্তত আটটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এতে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগ মোড়ে, শেকৃবি, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ জানায়, জনদুর্ভোগ ঠেকাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের মুখে শিক্ষা প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্রলীগ আন্দোলনে রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগ তোলে। সরকার পক্ষের ভাষ্য, এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১২ জুলাই শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।